কি ভাবে আমরা আমাদের বদ-অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে পারি ?

প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের সবারই কিছু না কিছু দোষ-গুণ রয়েছে এবং সেই দোষ-গুণকে বিচার করে চলার জন্য সৃষ্টিকর্তা আমাদের কে বিবেক দিয়েছেন। ভালো গুণ বা ভালো কিছু সবারই ভালো লাগে, কিন্তু মন্দ স্বভাব অথবা বদ অভ্যাস আমরা কেউ পছন্দ করি না। আর এই বদ অভ্যাসের কারনে মাঝে-মাঝেই আমাদেরকে নানান বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়, যার কারনে আমাদের আফসোসের শেষ থাকেনা। ফলে হর-হামেশা যেই প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয় তা হচ্ছে, কেন এই বদ-অভ্যাস গুলো পরিহার করতে পারছিনা। অবশেষে প্রাচীন একটা প্রবাদ মেনে নিতে হয়, মানুষ অভ্যাসের দাস।

আসলেই কি তাই; মানুষ অভ্যসের দাস নাকি অভ্যাস মানুষের দাস? পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে অনেক কথা থাকতে পারে কিন্তু সব থেকে ভালো হয় যদি আমরা প্রতিদিন ভালো কিছু রপ্ত করি।

ঠিক তাই বন্ধুরা, প্রতিদিন ভালো কিছু যদি রপ্ত করতে আগ্রহী হই তাহলেই আমরা আমাদের বদ-অভ্যাস গুলো র্বজন করতে পারি। কিন্তু সেটি না করে আমরা সব সময় যেটা করি তা হচ্ছে অন্যের দোষ ধরা। অন্যকে ভুল প্রমান করে থাকি। এতে যে আমাদের লাভ কিছু হচ্ছে তা কিন্তু না। বরং অন্যের দোষ দেখতে গিয়ে যেটা হচ্ছে তা হলো আমরা সেই ভুলের সাথে, সেই দোষের সাথে পরিচিতি হচ্ছি, আর এভাবেই প্রতিদিন আমারা অন্যের বদ অভ্যেস ধরতে ধরতে নিজের অজান্তেই লালন করি নিজের ভিতরে এক ভয়াবহ বদ অভ্যাস তৈরীর কারখানা।

তাহলে বুঝতে পারছি যে মূল সমস্যা আমাদের নিজের ভিতরেই। এবং সত্য হচ্ছে আমাদের নিজেদের দোষ আড়াল করতেই আমরা অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলি। মানুষ হিসেবে আমাদের এই অবস্থা খুব লজ্জাষ্কর। খুব অপমানকর।

এই জন্য আমাদের ভিতরে যদি সমস্যা থাকে তাহলে তার প্রতিকার প্রথমে করতে হবে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ আমাদের বদ অভ্যাস গুলি আগে চিহ্নিত করা। মনে রাখতে হবে আমাদের বদ অভ্যাস গুলো তৈরী হয় মুলত মানসিক চাপ এবং আমাদের উদাসীনতা থেকে।

আর প্রতিটি বদ অভ্যাস আমাদের কে আমাদের মূল লক্ষের থেকে পিছিয়ে দেয়, এসব আমাদের কে সার্বিক ভাবে বাধাগ্রস্থ করে। আমাদের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে ও শারিরীক ভাবে এছাড়া আমাদের মূল্যবান সময় ও স্বত:স্ফূর্তভাবকে ধ্বংশ করে দেয়।

এই জন্য শুরুতেই আমাদের কে জানতে হবে আমাদের খারাপ অভ্যাস গুলো কি কি এবং সুন্দর কিছুর সাথে এর পার্থক্য কি কখন, কি অবস্থাতে, কতবার আমার আচরনের মধ্যে এই অভ্যাস গুলো প্রকাশ পায়। কি কি বদ অভ্যাস আমি বহন করে চলেছি।

দ্বিত্বীয় বিষয় হচ্ছে মনে রাখতে হবে আমারা কখনই ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক ধারনা অথবা ভাবনা নিয়ে জন্ম নেইনা। বলা যেতে পারে আমাদের পরিবেশ এবং পারি-পাশ্বির্কতার মধ্য দিয়ে যে ভাবে বড় হই তার কিছু বৈশিষ্ট্য আমাদের আচরনে প্রকাশ পায়।

তৃতীয়ত, আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে প্রতিদিনের চেষ্টাতে আমরা এগুলোকে পরিহার করতে পারি। সমস্ত বদ অভ্যাসের উল্টো পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন মন্দ কথা বলা, হতাশার কথা, বিভিন্ন আক্ষেপের বিষয়। যদি আমরা ভাল ফল পেতে চাই তাহলে আমাদের কে এসব কিছু থেকে ঘুরে দারাবার চ্যলেন্জ নিতে হবে।

চতুর্থত, মন্দ সঙ্গ ছেড়ে ভালর সাথে থাকার অভ্যাস তৈরী করতে হবে, পরিবারের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা, এবং সবার সাথে মিশে থাকা, তাহলে অন্যের ভাল কিছু দেখে আমরা অনুপ্রানিত হব।

এবং পঞ্চম বিষয় হচ্ছে ধন্যবাদের অন্তর তৈরী করতে হবে, কৃতজ্ঞ হৃদয় তৈরী করতে হবে। সৃষ্টি কর্তাকে ধন্যবাদ জানাতে হবে। নিজের মধ্যে আত্মস্থ করতে হবে যে আমি পারি। বিশ্বাস রাখুন যে আজ থেকে নতুন কিছু হতে চলেছে আপনার জীবনে। ভালো থাকুন সারাবেলা সারাক্ষন, এই বিষয়ে আরো কিছু জানতে হলে লগ অন করুন www.radiojyoti.com

Follow me

You may also like...