কেন এই দুঃখভোগ?

অবশেষে বহু দুঃখভোগের পর ফিরে এলো সুদিন তোমার, দুখিনি তুমি আর দুঃখ করো না, দুখিনি তুমি আর কষ্টের নোনা জলে ভেসো না একা। এবার চোখ মেলে চেয়ে দেখ, তোমাকে ঘিরে আছে নতুন এক আলো, নতুন এক শুভ্রতা। তুমি আর গুমরে কেঁদো না বরং দুহাত উঁচিয়ে ধরো- কন্ঠ ছাড়ো, গেয়ে ওঠো বিজয়ের গান।

তবুও; কোন এক বিষন্ন বিকেলে-পশ্চিম দিগন্তে সন্ধ্যার আগমনি ঘন্টা বেজে উঠলে, মন ঘরে ধুলো জমা তান পুরাটাতে হঠাৎ বেজে ওঠে অন্য এক দুখিনি সুর, কষ্টের তান্ডব নৃত্য শুরু হয়। তখননিস্পলক চেয়ে থাকা সুদূর আকাশের পানে- যতো দুর দৃষ্টি যায়। আর চারিদিকে আলো-আঁধারির খেলা চলে অবিরাম, মন ঘরে যত্নে থাকা একলা পাখিটা ছট-ফট করে, গুমরে কেঁদে ওঠে, পরিত্রান চাই,ছুটি চাই মন, হারাতে চাই দূরে কোথাও, একলা- একাকী অন্য কোথাও।

আসলেদুখিনির মতো আমরাও প্রতিদিন প্রতিনিয়ত এমনি অনেক দুঃখ-কষ্টের বোঝা বুকের খুব গভীরে বয়ে বেড়াই, আর নিরবে একাকী কেঁদে বেড়াই। কিন্তু একটা মানুষ আসলে কতটা বোঝা বহন করতে সক্ষম? কতটা ভার সে বহন করতে পারে? প্রত্যেকের একটা বোঝা বহন করার নিজেস্ব ক্ষমতা থাকে, যদি তার থেকে বেশি হয় তাহলে সে নিজ নিয়মেই তা ফেলে দেবে, প্রকাশ হবে তার অপারগতা।

আমরা আমাদের ব্যক্তি জীবনে যখন নানা রকম পরীক্ষার মধ্য দিয়েযাই তখন সাধারনত খুব ব্যকুল হয়ে পড়ি, হতাশার সাগরে ডুবতে থাকি। কিন্তু আমাদের সৃষ্টিকর্তা অনেক দয়ালু, তিনি জানেন আমরা কতটুকু বহন করতে সক্ষম এবং আমাদের ক্ষমতার অধিক বোঝা তিনি কখনই চাপিয়ে দেন না।

এখন আমরা নিজেদের দিকে একটু ফিরে দেখি। আমরা কি করি,যখন আমাদের উপর পরীক্ষা নেমে আসে? যখন আমরা বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যাই? কার মুখপানে চেয়ে বসে থাকি আশায়-আশায়। আমরা কি যন্ত্রনা বা দুঃখভোগের সময় কিংবা সমস্যার ঘূর্নিপাকে পড়েআরও গভীরে তলিয়ে যাই, নাকি এ থেকে উত্তরনের পথ খুঁজে স্রষ্টার কাছে তাঁর অনুগ্রহ চাই?আমার মনে হয় সেই পথটিই উত্তম, যে পথ দয়াময় মাবুদ, ক্ষমাশীল মাবুদ আমাদের জন্য তাঁর রহমতের দরজা খুলে রেখেছেন। কারন তিনি শুধু বিজয়ীদের জন্যই পৃথিবীতে সূর্য উঠান না- এখানে হেরে যাওয়া মানুষেরাও আছে।

 

 

Follow me

You may also like...