গতি সন্তুষ্টি বনাম জীবন

বাংলাদেশে প্রায়ই দ্রুত গতি এবং গাড়ি চালনার প্রাথমিক নিয়ম না মানার কারণে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে । দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি আমরা সবাই (বিদেশী এবং স্থানীয়) অনেক দুঃখজনক স্মৃতির কথা উল্লেখ করতে পারি।

কোন কোন ক্ষেত্রে, চালকদের মনে হয় খুবই জেদি এবং গাড়ি চালনার দক্ষতার উপর যথেষ্ট আত্ম-বিশ্বাসী। যা হোক, এগুলো কেবল তাদের বাহ্যিক প্রকাশভঙ্গি। বাংলাদেশের রাস্তাগুলো এত বেশি এবড়ো-খেবড়ো যে চালকদের স্বাভাবিকের চাইতেও বেশি সতর্ক এবং নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা উচিত।

যখন যাত্রীরা চালককে গতি কমাতে বলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা তা করে না। চালকের উদ্দেশ্য কি?  সব সময় প্রথম হওয়ার মনোভাব কি তাদের তাড়া করে? নাকি দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো তাদের ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি?

এই ধরণের আচরণের উপকারিতা কি? কিছুই না। তারা অন্য গাড়িগুলো থেকে মাত্র কয়েক মিটার আগে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরিশেষে, দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তারা সব যাত্রীর জীবনের ঝুঁকি নেয়। এটি অন্যদের জীবনের প্রতি সম্পূর্ণ দায়িত্বহীন আচরণ।

আসুন আমরা এই কথা বলার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসিঃ “এর কোন সমাধান নেই, কোন কিছুই পরিবর্তন হবে না।” যদি আমরা সত্যিই তাই বিশ্বাস করি যে কোন পরিবর্তন হবে না তাহলে আসলেই হবে না, আর একটি সুন্দর বাংলাদেশের কোন আশাও থাকবে না।

আসুন আমরা নিজেদের পরিবর্তন করতে নিজেরা উদ্যোগী হই।

যদি আপনি একজন চালক হন, তাহলে পথচারীদের প্রতি সেই ধরণের মনোভাব ধারণ করুন যা আপনি নিজের প্রতি করেন; তাদের সম্মান করুন এবং সঠিক উপায়ে রাস্তা পারাপারের সুযোগ দিন।

যদি আপনি একজন পথচারী হন, একজন চালকের সংগ্রামকে বোঝার চেষ্টা করুন, নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে রাস্তা পার হোন।

জীবনকে উপভোগ করুন, গাড়ী চালানোর নিয়ম মেনে চলুন! আপনি অন্যদের কাছে যা আশা করেন তাদের প্রতিও সেইরকম করেন।

You may also like...